

রাজধানীর গুলিস্তানের শহীদ আবরার ফাহাদ অ্যাভিনিউতে ‘কার্যক্রম নিষিদ্ধ’ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার আগে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঠেকাতে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় ১০-১৫ জনের একটি দল।
এই অবস্থান চলাকালেই হঠাৎ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দেখা যায়। আগুনের তীব্রতা কমলে বিক্ষুব্ধরা আবারও আগুন লাগিয়ে দেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর বিক্ষুব্ধ জনতা আওয়ামী লীগের এই কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছিল। পরে ভবনটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকে।
উল্লেখ্য, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এসময় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করতে রাজপথে অবস্থান নেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মীরা।
মন্তব্য করুন


ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতদের প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণ এবং আহত, নিহত ও নিখোঁজদের নাম-ঠিকানাসহ তালিকা তৈরিতে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।
দুর্ঘটনার তীব্রতায় তাৎক্ষণিকভাবে সঠিক তথ্য নিশ্চিত করা না গেলেও, বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে থাকা বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলমকে সভাপতি করে গঠিত এই কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন—উপাধ্যক্ষ (প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম, প্রধান শিক্ষিকা খাদিজা আক্তার, কো-অর্ডিনেটর লুৎফুন্নেসা লোপা, অভিভাবক প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান মোল্লা (শিক্ষার্থী: যাইমা জাহান, চতুর্থ শ্রেণি) এবং দ্বাদশ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী—মারুফ বিন জিয়াউর রহমান ও মো. ভাসনিম ভূঁইয়া প্রতিক। কমিটিকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সরাসরি ঘটনাস্থল পরিদর্শন, সংশ্লিষ্ট পরিবারদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং নিশ্চিত তথ্য যাচাই করে তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কমিটির প্রতিবেদনটি শুধু অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনার জন্য নয়, প্রয়োজনে সরকার, উদ্ধারকারী সংস্থা ও অন্যান্য সহায়তাকারী কর্তৃপক্ষের কাছেও হস্তান্তর করা হবে। ইতোমধ্যে অধ্যক্ষের স্বাক্ষরে কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপন ই-মেইলের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী কাজও শুরু করেছে সদস্যরা।
এছাড়া, এই কমিটি ছাড়াও দুর্ঘটনার সার্বিক দিক, উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা, অবকাঠামোগত ক্ষতি এবং নিরাপত্তা ঘাটতির বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণের জন্য আলাদাভাবে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা কাজ করছেন বলে জানা গেছে।
গত সোমবার দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাথমিক শাখায় বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে বহু শিক্ষার্থী হতাহত হন।মর্মান্তিক এই ঘটনার পরদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হয়।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আয়নাঘর সারা বাংলাদেশজুড়ে বিদ্যমান। এর সঠিক সংখ্যা এখনও নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকর্মী ও ভুক্তভোগীদের নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।
জানা গেছে, এর আগে তিনি প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ সেল এবং র্যাব-২ এর সিপিসি-৩ এর ভেতরের সেলগুলো পরিদর্শন করেছেন। এরপর তারা র্যাব সদর দপ্তরের টাস্কফোর্স ইন্টেলিজেন্স সেন্টারে যান।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এ ধরনের ইন্টারোগেশন সেল, টর্চার সেল সারা বাংলাদেশজুড়ে ছড়িয়ে আছে; আজকে সেগুলো সম্পর্কে শুনলাম। আগে আমার ধারণা ছিল যে, এখানে আয়নাঘর বলতে কয়েকটি স্থানকেই বোঝায়। কিন্তু এখন জানলাম, আয়নাঘরের মতো স্থান সারা দেশজুড়ে বিদ্যমান। কেউ বলছে ৭০০, কেউ বলছে ৮০০। সঠিক সংখ্যা এখনও নিরূপণ করা যায়নি। কতটা জানা আছে, কতটা অজানা রয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে যা ঘটেছে তা নৃশংস। প্রতিটি ঘটনা শুনে অবিশ্বাস্য মনে হয়। এটা কি আমাদেরই জগত, আমাদেরই সমাজ? আমরা কি এটা করলাম? যারা নিগৃহীত হয়েছে, যারা এটার শিকার হয়েছে তারাও আমাদের সঙ্গে আছে। তাদের মুখ থেকে শুনলাম- এটা কীভাবে হয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত বলে একটা কথা আছে। গত সরকার সর্বক্ষেত্রে আইয়ামে জাহেলিয়াতকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছে। এটা (আয়নাঘর) এর একটি নমুনা।’
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার আয়নাঘর পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে ‘বিশেষ’ স্থানে রাখা হতো। এ নিয়ে সুইডেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নেত্র নিউজে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে এসব স্থান ‘আয়নাঘর’ নামে প্রকাশ্যে আসে। গুম হওয়া ব্যক্তিদের অনেকে শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর আয়নাঘর থেকে ফিরে আসেন পরিবারের কাছে। তাদের বয়ানে উঠে এসেছে আয়নাঘরের ভয়াবহতা।
১৯ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একটি বৈঠক করেছে। সে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে গুমের ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানানো হয়। গুম করে বন্দিদের যেখানে রাখা হতো তা জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল বা আয়নাঘর নামে পরিচিত। কমিশনের সদস্যদের আহ্বানেই সেসব স্থাপনা পরিদর্শনে গেছেন অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান।
অভিযোগ রয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনকালে ২০০৯ থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬০৫ জনকে গোপনে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। অন্য আরেকটি তথ্যে বলা হয়েছে, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে ৩৪৪ ব্যক্তি গুমের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ৪০ জনকে। আর ৬৬ জনকে সরকারি হেফাজতে গ্রেপ্তার অবস্থায় পাওয়া গেছে।
যেসব ব্যক্তি দীর্ঘদিন গুম থাকার পর ফিরে এসেছেন, তারা গুমের ব্যাপারে মৌনতা অবলম্বন করেছেন। ধারণা করা হয়, এসব মানুষদের গুম করে রাখা হয় আয়নাঘরে। অভিযোগ রয়েছে, আয়নাঘরেই বন্দি ছিলেন- অধ্যাপক মোবাশার হাসন, সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান, ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ কুমার রায়, মাইকেল চাকমা ও মীর আহমদ বিন কাসেমসহ অনেকে।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে। গ্রামাঞ্চলে গেলে নির্বাচনের উত্তাপের দেখা মিলছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি তো দেখছি, সাধারণ মানুষ খুব ভালোভাবে নিচ্ছে যে নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে। আমি তো কনফিউশন দেখছি দুয়েকজন তথাকথিত জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের মধ্যে। তারা দুয়েকটা সময় টেলিভিশনে আসেন, এসে বলেন। আমরা দেখি যে সোজা বাংলায় যাকে বলে তারা মার্কেট গরম করতে চান।
ভোট প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, আমরা দেখছি বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আর আমি বলব, নির্বাচনের ট্রেন তো ছেড়ে গেছে। গ্রামাঞ্চলে গেলে নির্বাচনের উত্তাপের দেখা মিলছে। আজকেই তো একটা দল নির্বাচনে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা বিদেশে বন্ধু চাই, প্রভু নয়। এই বন্ধুত্ব হবে সমতার ভিত্তিতে। কেউ আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকাবে, তা আমরা হতে দেব না। বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে সসম্মানে থাকবে। দেশের বিরুদ্ধে কোনও ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না।’
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) নাটোরের নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলা সরকারি কলেজ মাঠে জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশ হবে সাম্যের বাংলাদেশ। তবে এ জন্য লড়াই করতে হবে। তাহলেই আমরা সত্যিকারের স্বাধীন দেশের গর্বিত নাগরিক হতে পারব। এই লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী মানুষের দোয়া, ভালোবাসা, পরামর্শ এবং ইতিবাচক সমালোচনা প্রত্যাশা করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সম্মানের সঙ্গে কাজ করতে পারবে। নারীদের যথাযথ মর্যাদায় দায়িত্ব পালনের সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।’
শিক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সন্তানরা এমনভাবে শিক্ষিত হবে, যেন তাদের চাকরির জন্য কারও কাছে ধরনা দিতে না হয়। বরং শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার আগেই তারা কাজ পেয়ে যাবে। এই দায়িত্ব জামায়াতে ইসলামী পালন করবে। আমরা এমন শিক্ষা চাই, যা সন্তানদের মধ্যে দেশাত্মবোধ, মমত্ববোধ এবং মানবিক গুণাবলীর বিকাশ ঘটাবে।’
জেলার বঞ্চনার প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, ‘নাটোরের কোনও অপরাধ না থাকলেও এখানে মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট নেই। আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, অন্তত একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে এ জেলার বঞ্চনার অবসান করা হোক। ভবিষ্যতে জামায়াত দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে নাটোরের জন্য কোনও দাবি পাঠাতে হবে না। আমি নিজেই এসব দাবি পূরণ করব।’
জেলা জামায়াতের আমির ড. মীর নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ কর্মী সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দিন প্রমুখ।
নাটোরের এই কর্মী সম্মেলনে জামায়াতের সাম্যের স্বপ্ন ও শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের আহ্বান নতুন করে আলোচনায় এসেছে।
মন্তব্য করুন


গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত ফেরত না দিলে সেটি প্রত্যর্পণ চুক্তির লঙ্ঘন হবে, এমন মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ আইনসহ অন্যান্য সমসাময়িক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত আনার বিষয়ে অগ্রগতি কতদূর জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আমরা প্রত্যর্পণের জন্য চিঠি পাঠিয়েছি। এরপর ভারত যদি শেখ হাসিনাকে ফেরত না নেয়, তবে সেটি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের প্রত্যর্পণ চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হবে। এই ব্যাপারে আমরা কী পদক্ষেপ নেবো, তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।"
তিনি আরও বলেন, "ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। আমরা যা কিছু করণীয়, তা করেছি এবং আরও কিছু পদক্ষেপ নিতে হলে আমরা তা প্রয়োজনে গ্রহণ করবো।"
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এরপর তার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে একাধিক মামলা দায়ের হয়। এদিকে, তাকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার উদ্যোগী হয়ে রয়েছে।
গত ২৩ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার বিষয়ে ভারতকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল ওইদিনই কূটনৈতিক চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে, শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার মহেশ সাচদেব বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সরকার কর্তৃক প্রত্যর্পণ অনুরোধের বিরুদ্ধে আদালতে যেতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, "যেমন ইউরোপীয় কয়েকটি দেশ ভারতের প্রত্যর্পণ অনুরোধ বিভিন্ন শর্তে প্রত্যাখ্যান করেছে, শেখ হাসিনাও একইভাবে বলতে পারেন যে, তিনি তার দেশের সরকারের ওপর আস্থা রাখেন না এবং তার বিরুদ্ধে অবিচারের আশঙ্কা রয়েছে।"
মন্তব্য করুন


বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর ভাটারা থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার জামিন দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২০ মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
গতকাল সোমবার (১৯ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হকের আদালত এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে জামিন শুনানির জন্য ২২ মে দিন ধার্য করা হয়।
এর আগে, রবিবার দুপুরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। পরে ভাটারা থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। পরে থানা থেকে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আলোচিত এ নায়িকার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ভাটারা থানায় একটি মামলা রয়েছে। মামলায় তাকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্থের জোগানদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। হত্যাচেষ্টার ওই মামলায় আসামি করা হয়—অপু বিশ্বাস, আসনা হাবিব ভাবনা, নুসরাত ফারিয়া, অভিনেতা জায়েদ খানসহ ১৭ জন তারকাকে।
তাছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের সংশ্লিষ্ট ২৮৩ জন এবং অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার শজনকে ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


এবারের নির্বাচনকে দেশের জন্য কিছু করার জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। এ সময় সুষ্ঠু নির্বাচন করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই বলেও জানান তিনি।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের অনুষ্ঠিত সংলাপের সূচনা বক্তব্যের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘জাতিকে সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে চায় ইসি। সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতার বিকল্প নেই।’
জানা গেছে, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে অংশীজনদের পরামর্শ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এরই ধারাবাহিকতায় নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এবং নারী নেত্রীদের সঙ্গে আজ সংলাপে বসছে ইসি।
সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত আছেন।
এরপর জুলাই যোদ্ধা, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও বসবে ইসি। ইতোমধ্যে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, সংলাপে উঠে আসা মতামত তার কমিশন বাস্তবায়ন করবে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ভোটের সংলাপ শুরু করে ইসি। ওইদিন সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। তবে সংলাপ শুরুর দিন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অর্ধেকেরও বেশি সুশীল ও বুদ্ধিজীবী অংশ নেয়নি।
মন্তব্য করুন


আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে আন্তর্জাতিক চক্রান্তে পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য আন্তর্জাতিক একটি কৌশল হিসেবে পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। এর মাধ্যমে সংবিধানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছে। কারণ পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পরই সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী সম্ভব হয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষকে জিম্মি করে, ভোটের অধিকার হরণ করে এবং নৈরাজ্যের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করার জন্যই বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটানো হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমেদের প্রচ্ছন্ন নিষ্ক্রিয়তা ছাড়া বিডিআর হত্যাকাণ্ড সম্ভব ছিল না। এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করতে হবে।
ভারতের সমালোচনা করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, একটি বন্ধু রাষ্ট্র বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার নামে বাংলাদেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছিল। এখন তারা একজন খুনিকে আশ্রয় দিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে।
মন্তব্য করুন


বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুই দিন ধরে যে ফ্লাইট বিপর্যয় হয়েছে তার মাশুল সরকার মওকুফ করে দেবে।
রোববার বিমানবন্দরের কার্গো (৮ নম্বর) গেটের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
এ সময় বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন ‘অর্থনৈতিক পরিমাণ নিদিষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস সঠিকভাবেই কাজ করতে পেরেছে। যত অভিযোগ আসছে সব আমলে নিয়েই তদন্ত করা হবে। সব কিছুই অনুসন্ধান করা হচ্ছে, শুরুতে মালামাল সরানোর মতো অবস্থা ছিল না।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘২ দিন ধরে যে ফ্লাইট বিপর্যয় হয়েছে তার মাশুল সরকার মওকুফ করে দেবে।’
শনিবার দুপুরে কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণে দেশের প্রধান বিমানবন্দর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব ধরনের ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করা হয়।
মন্তব্য করুন


কোনো ধরনের চাঁদাবাজিকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সোমবার (২৮ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, চাঁদাবাজিকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেয়া হবে না। চাঁদাবাজ যত শক্তিশালীই হোক কিংবা যে পরিচয়ই দেয়া হোক, তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে আগস্ট থেকে ধাপে ধাপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। মাদক বহনকারীদের ধরা যাচ্ছে, কিন্তু মাদকের গডফাদারদের ধরা যাচ্ছে না। তাদের ধরার চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন