অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও গোয়েন্দা শাখার প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
মুজিব নগর দিবস উপলক্ষ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ শীর্ষক আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের হাতে পদক তুলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সোমবার (৮ মে) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে স্বাধীনতা একাডেমি ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ছাড়াও মোট ৮ জনকে এই পদক দেওয়া হয়।
পদক প্রাপ্তরা হলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, প্রকৌশলী কবীর আহমেদ ভূঁইয়া, প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান, প্রকৌশলী দেলোওয়ার হোসেন মজুমদার, প্রকৌশলী আবদুস সবুর।
পুরস্কার গ্রহণের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্যে ছিলেন। তিনি অনেক আগেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখে গেছেন। আজ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি রূপরেখা দিয়েছেন। সেই লক্ষ্যে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে আলোচকরা মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সংগ্রামী জীবনের নানান ঐতিহাসিক ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেন।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশে ব্যাপক লুটপাট হয়েছে। তিনি দাবি করেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে "চোরতন্ত্র" প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি বলেন, অর্থের বিনিময়ে বড় বড় প্রকল্পের কাজ দেওয়া এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ পাচার করা সেই সময়ের নিয়মিত ঘটনা ছিল। সে সময় পাচার করা অর্থ দিয়েই এখন প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে পাচারকারীরা।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লবে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই বিপ্লবের প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, “যারা এই বিপ্লবে অংশ নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এখানে কোনো গণঅভ্যুত্থান হয়নি বরং মৌলবাদী শক্তির উত্থান ঘটেছে। এ ধরনের অপপ্রচার করে পরাজিত শক্তি আপনাদের জঙ্গি হিসেবে উপস্থাপন করতে চায়।”
তিনি আরও বলেন, "জুলাই বিপ্লবের সময় অনেক গণমাধ্যম আন্দোলনকারীদের 'জাতির শত্রু' হিসেবে চিত্রিত করেছিল। গণমাধ্যমের মাধ্যমে এমন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছিল যা শাসকদের কাছে আন্দোলনকারীদের দমন করার বার্তা পৌঁছে দিয়েছিল। যদি ফ্যাসিস্ট শক্তি জয়ী হতো, তবে হাজার হাজার মানুষকে কারাগারে পাঠানো হতো এবং আন্দোলনকে 'অরাজকতা সৃষ্টিকারী' হিসেবে দেখানো হতো।"
সাংবাদিকতা কেবল পেশা নয়, এটি একটি দায়িত্ব উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, "জুলাই বিপ্লবে কার কী ভূমিকা ছিল তা আরও গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। সবাইকে তাদের অভিজ্ঞতা এবং পর্যবেক্ষণ লিখে রাখার আহ্বান জানাই।"
অনুষ্ঠানে উপস্থিত পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, “যদি ফ্যাসিস্ট সরকার আরও এক মাস সময় পেত, তাহলে ২৫ মার্চের মতো আরও একটি কালরাত দেখা যেত। সেই রাতে শিক্ষক, সাংবাদিক এবং তরুণদের টার্গেট করে হত্যা করা হতো। ফ্যাসিস্ট সরকার টিকে গেলে যুবসমাজের চাকরির অধিকারও হরণ করা হতো।”
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি ও যুক্তরাজ্যের দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের উপর মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করার চাপ ক্রমেই বাড়ছে। এবার তাকে মন্ত্রীত্ব থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের দুর্নীতিবিরোধী জোট ইউকে অ্যান্টি-করাপশন কোয়ালিশন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে টিউলিপ সিদ্দিককে তার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানায় জোটটি। ইউকে অ্যান্টি-করাপশন কোয়ালিশনে অক্সফাম, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ও স্পটলাইট অন করাপশনের মতো আন্তর্জাতিক সংগঠন অন্তর্ভুক্ত।
টিউলিপ যুক্তরাজ্যের লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য। তিনি ইকোনমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ দেশটির অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া। অথচ খোদ তার বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
কোয়ালিশন তাদের বিবৃতিতে বলেছে, টিউলিপ সিদ্দিকের বর্তমান অবস্থান গুরুতর স্বার্থের সংঘাত তৈরি করেছে। ট্রেজারি মন্ত্রী হিসেবে তিনি অর্থপাচার নিয়ম ও অর্থনৈতিক অপরাধের জন্য যুক্তরাজ্যের কাঠামোর দায়িত্বে আছেন, অথচ তার পরিবারের সরাসরি সংযোগ রয়েছে এমন একটি সরকারের সঙ্গে, যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত চলছে।
কোয়ালিশন আরও জানায়, তার পদত্যাগ মন্ত্রী হিসেবে তার শপথ ভাঙা হয়েছে কি না, তা নিয়ে স্বাধীন উপদেষ্টার তদন্তের ফলাফলের ওপর নির্ভর করে না। মন্ত্রীর বর্তমান দায়িত্বের আওতায় যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বিশ্বাসযোগ্যতা ও সুনাম রক্ষায় জরুরি সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন। কিন্তু উদ্ভুত পরিস্থিতিতে টিউলিপ সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অবস্থানে রয়েছেন কি না তা, নিয়েই সন্দেহ রয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশে খালার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে টিউলিপ সিদ্দিকের পূর্ববর্তী সংযোগ ও সেই সময়ে কেনা পাঁচটি সম্পত্তির বিষয়ে নতুন তথ্য সামনে এসেছে। জানা গেছে, এগুলোতে টিউলিপ বা তার পরিবার বসবাস করেছে ও এসব সম্পত্তি আওয়ামী লীগ সরকারের মিত্রদের দ্বারা-ই কেনা হয়েছিল।
এছাড়া শেখ হাসিনার সঙ্গে রাজনৈতিক বিষয়ে কখনোই আলোচনা হয়নি বা নিজেকে বারবার নির্দোষ দাবি করলেও বাংলাদেশের গণভবনে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনি প্রচারপত্র, লেবার পার্টির পোস্টারসহ টিউলিপ সিদ্দিকের রাজনীতি সংশ্লিষ্ট বেশকিছু জিনিস পাওয়া গেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সানডে টাইমস বলছে, তাদের প্রতিবেদক বিদেশি বিশিষ্টজনদের উপহার হিসেবে টিউলিপকে দেওয়া পোশাক-গয়না, দামি কলমের মোড়কসহ নানা জিনিস গণভবনে পড়ে থাকতে দেখেছেন। এসব বিষয় টিউলিপকে নিয়ে বিতর্ক আরও বাড়িয়েছে।
তবে বিতর্ক চলতে থাকলেও লেবার সরকার টিউলিপের পক্ষে সমর্থন অব্যাহত রেখেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের মুখপাত্র বলেছেন, ট্রেজারি মন্ত্রীর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। মন্ত্রী তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে স্বাধীন উপদেষ্টার কাছে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন। তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান ও আমরা সেই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে কিছু বলবো না।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছে। ইইউ-এর এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা পামপালোনি এ তথ্য জানান। এছাড়াও, দুর্নীতির বিরুদ্ধে একযোগে লড়াই করার ব্যাপারেও ইইউ এর সমর্থনের কথা বলেন তিনি।
বুধবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন পামপালোনি। এ সময় ইইউ-এর বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এবং প্রতিনিধিদলের প্রধান মাইকেল মিলারও উপস্থিত ছিলেন।
পাওলা পামপালোনি প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, “বার্তাটি খুবই পরিষ্কার—ইউরোপীয় ইউনিয়ন আপনার পাশে রয়েছে। আমরা আপনার সংস্কার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে চাই।” তিনি আরো জানান, সংস্কারের জন্য ইইউ অর্থের ঘাটতি হতে দেবে না এবং প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তাও প্রদান করবে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এই অঙ্গীকারের জন্য ইইউ-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকের সময় ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েনের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ স্মরণ করেন। যেখানে তারা বাংলাদেশের জন্য সমর্থন বাড়ানোর ব্যাপারে আলোচনা করেছিলেন।
পামপালোনি জানান, “আমরা ইউএনজিএ-তে আপনার বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শুনেছি এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। আপনাকে একা ভাবতে হবে না; আমরা সত্যিই সমর্থন দিতে আগ্রহী।”
তিনি আরও জানান, ইইউ বাংলাদেশকে আরও বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করতে উৎসাহিত করছে, যা কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখবে।
রাষ্ট্রদূত মিলার জানান, ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট জানুয়ারিতে বাংলাদেশ সফরের পরিকল্পনা করছেন, যা উভয় দেশের মধ্যে আরও ব্যবসায়িক সুযোগ সৃষ্টি করবে।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের শ্রম অধিকার সংস্কারে তার অঙ্গীকারের পুনর্ব্যক্ত করেন এবং বলেন, “আমরা আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে চাই, কোনো গোপনীয়তা থাকবে না। আমরা আর পূর্বের পন্থা অবলম্বন করতে চাই না।”
ইইউ কর্মকর্তা অধ্যাপক ইউনূসের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। পামপালোনি বলেন, “এটি প্রথমবার যে আমরা নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি দেখছি এবং এক্ষেত্রে আমরা আপনার ওপর নির্ভর করছি।”
প্রধান উপদেষ্টা ইইউ-কে নেপাল ও ভারতের সঙ্গে আঞ্চলিক বিদ্যুৎ সংযোগ বাড়াতে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “নেপালে বিপুল জলবিদ্যুৎ রয়েছে যা বর্তমানে অপচয় হচ্ছে। ইইউ-এর কিছু সহায়তায় নেপাল, বাংলাদেশ এবং ভারত এতে উপকৃত হতে পারে।”
তিনি ইইউ-কে বাংলাদেশের যুব সমাজের ওপর মনোযোগ দিতে অনুরোধ করেন এবং দক্ষিণ এশীয় ফুটবলে বাংলাদেশি মেয়েদের সাম্প্রতিক সাফল্যের প্রশংসা করেন। তিনি ইইউ-এর একটি ফুটবল দল বাংলাদেশে পাঠানোর অনুরোধ করেন, যা বাংলাদেশি মেয়েদের অনুপ্রাণিত করবে।
মন্তব্য করুন
ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই মুহূর্তে ইসি অন্য কোনো নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে না। তবে সরকার চাইলে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করতে ইসি প্রস্তুত রয়েছে।
মঙ্গলবার ইউএনডিপিসহ উন্নয়ন সহযোগী ১৮টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা ১৬ ডিসেম্বরের বক্তব্যে বলেছিলেন, যদি অল্প পরিমাণে সংস্কারসহ নির্বাচন করতে হয় এবং রাজনৈতিক মতৈক্য গড়ে ওঠে, তাহলে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব। আর যদি ব্যাপক সংস্কারের সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে ২০২৬ সালের জুন নাগাদ নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, "আমরা বলেছিলাম, আমাদেরকে সম্ভাব্য সবচেয়ে আগের তারিখ ধরে প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের অবস্থান এখনও অপরিবর্তিত।"
স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "একটি প্রশ্ন উঠেছিল, দুটি নির্বাচন একসঙ্গে করা যায় কিনা। এতে কত সময় লাগতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।"
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন একসঙ্গে আয়োজন করা সম্ভব নয়। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন ধাপে ধাপে আয়োজন করতে গেলে এক বছর সময় লাগে। যদি সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয়, তাহলে জাতীয় নির্বাচনের সময় পিছিয়ে যাবে। বর্তমানে জাতীয় নির্বাচনই ইসির অগ্রাধিকার। তাই ইসি এখন শুধু জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে সরকার যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে ইসি তা বাস্তবায়ন করবে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সরকারের।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আবুল ফজল বলেন, "স্থানীয় সরকার নির্বাচন কতটুকু হবে, কোন কোন প্রতিষ্ঠানের হবে, সে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তখন ইসি বলতে পারবে, এটা জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে কিনা। তার আগে এ বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।"
ইউএনডিপি ছাড়াও এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, কানাডা, জার্মানি, চীন, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, ইইউ এবং তুরস্কের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, "আমরা অন্তবর্তী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, যদি আপনাদের দায়িত্বে সামান্যতম গড়িমসি হয়, তাহলে এই বাংলাদেশে আপনাদের মুখ দেখানোর কোনো জায়গা থাকবে না।"
তিনি বলেন, "জুলাই-আগস্টে হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত, তাদের বিচার করা অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। যদি তারা এটি করতে না পারে, তাহলে এটি তাদের সীমাবদ্ধতা এবং ব্যর্থতার সবচেয়ে বড় প্রমাণ হবে।"
আজ শুক্রবার দুপুরে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সারজিস আরও বলেন, "এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করা, খুনী হাসিনার বিচার করা, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের সন্ত্রাসীরা যারা এই হত্যাযজ্ঞের সাথে সরাসরি জড়িত, যারা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে, খুনী হাসিনার সরবরাহ করা অস্ত্র দিয়ে আমাদের ভাইবোনদের হত্যা করেছে, তাদের বিচার করা অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, যদি আপনাদের দায়িত্ব থেকে বিন্দুমাত্র গড়িমসি করেন, তাহলে এই বাংলাদেশে আপনাদের মুখ দেখানোর আর কোনো জায়গা থাকবে না।"
তিনি আরো বলেন, "আমাদের শহীদ পরিবার, আহত যোদ্ধা এবং আগামীর প্রজন্ম- আপনাদের শুধু একটি অনুরোধ করতে চাই, আমরা দলকানা হবো না, কোনো গোষ্ঠীর পূজা করবো না। আমরা কাউকে ছেড়ে কথা বলব না।"
ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বলেন, "বিভিন্ন মহলের প্রোপাগান্ডার সেলগুলো বক্তব্যের খণ্ডাংশ নিয়ে ঘটনাগুলোকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে নোংরা রাজনীতি করার চেষ্টা করছে কি না, তা আমাদের খেয়াল করতে হবে। এই অভ্যুত্থানের সাথে সম্পর্কিত মানুষগুলোকে বিভিন্নভাবে গুজবের মাধ্যমে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে কি না, এই বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করার মনোভাব আমাদের মধ্যে থাকতে হবে।"
শহীদ পরিবারগুলোকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, "এটা শুধুমাত্র শুরু, অল্প কিছু টাকা দিয়ে মানুষ হারানোর শোক পূরণ করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা কথা দিতে চাই, এই জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন যতদিন থাকবে এবং আপনারা যতদিন থাকবেন, আপনাদের জন্য জীবনের বিনিময়েও কাজ করে যাবো।"
শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগের ৫৮ জনকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম, আশশেফা খাতুন, পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন, খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় নেতা মো. ওয়াহিদুজ্জামান প্রমুখ।
এর আগে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
মন্তব্য করুন
বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে। সুবিধা না পেলেও বিচারকদের দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
রোববার (২০ এপ্রিল) সকালে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজ বা সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সীমাবদ্ধতা মেনে দায়িত্ব পালনে বিচারকদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করার আহ্বান জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, বিচারকদের অন্যায়-অবিচার করার কোনো সুযোগ নেই। সুবিধার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের কোনো সম্পর্ক নেই। সুবিধা না পেলেও বিচারকদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি জানান, বিচার বিভাগেও সীমাবদ্ধতা আছে। তবে সীমাবদ্ধতা মেনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে।
আসিফ নজরুল জানায়, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এমনভাবে প্রস্তুত করতে হবে যেন উপমহাদেশের অন্যান্য দেশগুলো থেকে প্রশিক্ষণার্থীরা বাংলাদেশে আসেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এসে অনেকেই রাজনৈতিক বক্তব্য দিতেন।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনের সময় গ্রেফতার ১৭ বছর বয়সি শিক্ষার্থী হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজের মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম শেষ না হলে আইন মন্ত্রণালয়ের কিছু করার নেই।
তিনি আরও জানান, এ মামলায় দুজনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি আছে। সেটি ৮ মাসেও কেন প্রত্যাহার হয়নি সেটা সংশ্লিষ্টরা বলতে পারবেন। তার ভাইকে কোনো আশ্বাস দেওয়া হয়নি। বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস খোলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান তিনি। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের একটা কার্যালয় চালু হবে। এটি চালু হলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে ক্ষেত্রগুলো, মানবাধিকার পরিষদ সরাসরি সেগুলো তদন্ত করতে পারবে।’
শারমিন মুরশিদ আরও বলেন, ‘ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস খোলার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের মানবাধিকার রক্ষায় বিষয়টি ইতিবাচক দেখছে সরকার।’
এর আগে সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ফলকার টুর্ক।
সাক্ষাৎ শেষে তিনি বলেন, ‘জুলাই গণহত্যার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি এটা নিয়ে কাজ করছে।’
গতকাল সোমবার রাতে দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। দুই দিনের ঢাকা সফরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয় থেকে সাতজন উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, সেনাবাহিনী প্রধান, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের প্রতিনিধি এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
গত ১৫ বছরে পুলিশ বাহিনীতে ৮০ থেকে ৯০ হাজার সদস্যকে রাজনৈতিক পরিচয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, গত ১৫ বছরে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের আগে নানাভাবে তাদের তথ্য যাচাই করা হয়েছে। নিয়োগ পার্থী কোন দলের, তার বাবা কোন দলের, দাদা কোন দলের এবং আরও পূর্বপুরুষ কোন দলের তা খবর নেওয়া হয়েছে। দুই লাখ পুলিশের মধ্যে ৮০ থেকে ৯০ হাজার পুলিশ সদস্য এভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, এই ৮০ থেকে ৯০ হাজার পুলিশ সদস্যকে তো বলতে পারি না ‘গো হোম’ (বাসায় ফিরে যাও)। তবে যারা দুষ্টু, যারা পেশাদারত্বের বাইরে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়েছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সাজ্জাত আলী আরও বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যখন পুলিশ ইনঅ্যাক্টিভ হয়ে পড়ে, তখন ঢাকা শহরে ডাকাতি, লুটপাট শুরু হয়। তখন ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি নিয়ে পাহাড়া দিয়েছেন। তখন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ট্রমার মধ্যে পড়ে যায়। এরপর সদ্যবিদায়ী ডিএমপি কমিশনারসহ অন্যরা পুলিশকে সক্রিয় করতে কাজ শুরু করেন।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরের প্রধান সমস্যা ট্রাফিক। এই শহরে বিপুল সংখ্যক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। অটোরিকশা যদি বন্ধ না হয় তাহলে ঢাকা শহরের ঘর থেকে বের হলে আর হাঁটার জায়গা থাকবে না। মানুষের মুভমেন্ট বন্ধ হয়ে যাবে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। ট্রাফিক আইন কেউ মানতে চান না। হকাররা ফুটপাত দখল করে নিয়েছেন। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করেছি। ট্রাফিক আইনে দ্বিগুণ হারে মামলা করা হচ্ছে। ঢাকাবাসীর সহযোগিতা ছাড়া ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত হবে না।
ইদানিং ছিনতাইয়ের ঘটনা অহরহ হচ্ছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিভিন্নভাবে আমাকে জানানো হয়েছে ছিনতাই বেড়েছে। ছিনতাই প্রতিরোধে ডিবি ও থানা পুলিশকে সক্রিয় করা হয়েছে।
তিনি বলেন, চাঁদাবাজি হচ্ছে, কিন্তু সমাজ থেকে প্রতিরোধ করা না গেলে চাঁদাবাজি বন্ধ করা কঠিন। আপনারা কেউ চাঁদা দেবেন না। আমরা পুলিশ জনগণের পাশে থাকবো।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকা মহানগর পুলিশ পেশাদারিত্বের বাইরে গিয়ে কাজ করেছে বলে মন্তব্য করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এ ঘটনায় আমি ঢাকাসহ দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
তিনি বলেন, ডিএমপির ওই সময়ের অপেশাদার আচরণের কারণে বদলি ও দোষী সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু হবে। প্রার্থীরা আগামী ৩০ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, ৪৭তম বিসিএস থেকে আবেদন ফি ও মৌখিক পরীক্ষার (ভাইভা) নম্বর কমানো হয়েছে। এ বিসিএসে ভাইভা নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে।
আবেদন ফি ৭০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য আবেদন ফি ৫০ টাকা ধরা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৯ ডিসেম্বর থেকে ৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আবেদন ফি কমানোর প্রজ্ঞাপন না হওয়ায় আবেদন প্রক্রিয়া স্থগিত করে পিএসসি।
পিএসসি গত ২৮ নভেম্বর ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে আবেদন শুরু হয়ে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত চলার কথা ছিল। তবে বিশেষ কারণে আবেদন প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়।
এবার প্রথমবারের মতো বিসিএসে আবেদনকারীদের বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।
৪৭তম বিসিএসে ৩ হাজার ৪৮৭টি ক্যাডার এবং ২০১টি নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। সবচেয়ে বেশি শূন্যপদ রয়েছে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। সহকারী সার্জন পদে ১,৩৩১টি এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ৩০টি শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশি দূতাবাস থেকে সরানো হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি।
একটি ভিডিওতে দেখা যায় নিউইয়র্কে বাংলাদেশি দূতাবাস থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। দূতাবাসের কর্মীরা বাধা দিলেও বিএনপি সমর্থকদের চাপাচাপিতে শেখ মুজিবের ছবি সরিয়ে দিতে বাধ্য হন তারা।
গতরাতে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন। আমরা সতর্কতার সঙ্গে বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণের পাশে আছে। আমরা সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহবান জানাই।
তিনি আরও বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে বাংলাদেশে অনেক মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েক হাজার। বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, সেই সব রিপোর্টে আমরা গভীরভাবে দুঃখিত। বাংলাদেশে আন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করা হচ্ছে।আমরা অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে স্বাগত জানাই। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যে কোনও পরিবর্তনের আহবান জানাই।
মন্তব্য করুন