

কক্সবাজারের টেকনাফের সাগরে থেকে মাছ ধরে ফেরার পথে ছয় জেলেকে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকালে সেন্ট মার্টিনের দক্ষিণে ছেঁড়াদিয়া এলাকায় তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালিয়া ঘাট ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জেলেরা গভীর সাগরে মাছ ধরে ফেরার পথে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয় এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের একটি খালে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত তাদের সন্ধান মেলেনি। ঘটনায় জেলে পল্লিগুলোতে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মাছ ধরার ট্রলারটির মালিক জাকির হোসেন জানায়, গত শনিবার আবদুল করিম মাঝিসহ ছয়জন জেলে তার ট্রলারটি নিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে বিপুল পরিমাণ মাছসহ ট্রলারটি আরাকান আর্মির সদস্যরা নিয়ে গেছে। ট্রলারে থাকা এক জেলে বিষয়টি মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন জানিয়েছেন, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, টেকনাফ সদর, জালিয়াপাড়া, শাহপরীরদ্বীপ ও সেন্ট মার্টিনের প্রায় ৮০০ ট্রলার নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরে মাছ আহরণ করে। বিজিবি সূত্র জানায়, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এবার পর্যন্ত আরাকান আর্মি ৩৪৭ জন বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করেছে। এর মধ্যে ১৮৯ জন জেলে ও ২৭টি নৌযান ফিরে এসেছে। বাকি ১৫৮ জন জেলেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
সীমান্ত সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর প্রায় ১১ মাসের যুদ্ধে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীকে সরিয়ে রাখাইন রাজ্যের ৮০ শতাংশ এলাকা দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি। সীমান্তে এখনো সংঘাত চলছেই। অপহরণ ও গুলির আতঙ্কের কারণে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন রুটে দুই বছর ধরে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মন্তব্য করুন


আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, আর্মি চিফ প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করেছেন। এ ধরনের কোনো তথ্য আমার জানা নেই। আমি দু-একটা পত্রিকায় দেখেছি। আর অনলাইনে এটা নিয়ে নানা গুজব-গুঞ্জন হয়েছে দেখেছি। এসব গুজব গুঞ্জন নিয়ে বিচলিত হওয়ার মতো কিছু নেই।
তিনি বলেন, আর্মি চিফ আমাদের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মাঝেমধ্যেই দেখা করেন। রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও আগে দেখা করেছেন। তো আমি মনে করি না এটা নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু আছে।
আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
অনেকে ভাবছে কেয়ারটেকার সরকার হবে— এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইন উপদেষ্টা বলেন, আমি এ ধরনের কোনো সম্ভাবনার ব্যাপারে অবগত নয়।
তিনি বলেন, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এটা প্রধান উপদেষ্টা বারবার বলেছেন। নির্বাচন কমিশনকেও সেরকম ইন্সট্রাকশন দেওয়া হয়েছে। উনারা সব পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। তার আগে কিছু বিষয়ে যে মতভিন্নতা রয়েছে মতভেদ রয়েছে, আমরা আশা করি সেটা দূর হয়ে যাবে।
নির্বাচনকালীন সরকার গঠন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা— জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের যে অবস্থান সেটা আমরা বারবার বলেছি আমরা ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যত রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড আছে, এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে অগ্রসর হচ্ছে। এখানে পেছানোর কোনো সুযোগ নেই।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আমাদের দেশে গত এক বছরে মাঝেমধ্যে বেশ অবনতি হয়েছে, আবার ভালো হয়েছে। একটা গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে বা বিপ্লব পরবর্তী পরিস্থিতিতে সমাজে বিভিন্ন রকমের অস্থিরতা থাকে এবং এই সমস্ত অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মাঝেমধ্যে অবনতি ঘটে, সেটা যতই দুঃখজনক হোক হতাশাজনক হোক এটা অস্বাভাবিক বলে মনে করি না। আমরা এ রকম সিচুয়েশন আগে ট্যাকেল করেছি, ইনশাল্লাহ আবার ভালো হবে।
মন্তব্য করুন


ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) শনিবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাকিমপুর সীমান্ত চৌকির কাছ থেকে বাংলাদেশের এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করেছে। তিনি অবৈধভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ বিএসএফের।
বিএসএফ জানায়, সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে নিয়মিত টহলের সময় ওই কর্মকর্তাকে সন্দেহজনকভাবে সীমান্ত অতিক্রম করতে দেখে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া কাগজপত্রে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভারতীয় কর্মকর্তারা জানায়, এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে কোনো দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা ভারতীয় ভূখণ্ডে এভাবে প্রবেশ করতে গিয়ে ধরা পড়েননি।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বিশ্বের দীর্ঘতম আন্তর্জাতিক সীমান্তগুলোর একটি, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই রয়েছে প্রায় ২ হাজার ২১৭ কিলোমিটার। নদীঘেরা ভৌগোলিক অবস্থান, ঘনবসতি এবং শহরাঞ্চলের নিকটবর্তী হওয়ায় উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশ, চোরাচালান ও মানবপাচারের ঝুঁকি সবসময়ই বেশি থাকে।
বিএসএফ দীর্ঘদিন ধরে এই সীমান্ত এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদক ও গরু পাচার, জাল মুদ্রা চোরাচালান রোধে কাজ করছে। এ জন্য সীমান্তজুড়ে নজরদারি বাড়ানো, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার এবং বেড়া নির্মাণের মতো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আটক কর্মকর্তা এককভাবে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন, নাকি কোনো চক্রের হয়ে কাজ করছিলেন—তা এখনো স্পষ্ট নয়। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এক কর্মকর্তা জানান, এ ঘটনা সীমান্তে সর্বক্ষণ সতর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তা আরও একবার সামনে এনেছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানো হয়েছে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
মন্তব্য করুন


সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার ডিবিতে থাকা নথি আংশিক আগুনে পুড়ে গেছে বলে যে তথ্য জানানো হয়েছে তা সঠিক নয়।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরসাদুর রউফ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
এর আগে এ হত্যা মামলার ডিবিতে থাকা নথি আংশিক আগুনে পুড়ে গেছে বলে হাইকোর্টকে জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। এর কিছুক্ষণ পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরসাদুর রউফ। তিনি জানান, কোনো নথি পুড়ে গেছে এ ধরনের নিউজ সঠিক নয়।
এদিকে, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারিত সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথিপত্র ডিবি হেফাজতে পুড়ে যাওয়ার তথ্যটি সঠিক নয় বলে এক বিশেষ বিবৃতিতে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স-এর উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলা তদন্তে আরও ৬ মাস সময় দিলেন হাইকোর্ট
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত করতে টাস্কফোর্স আর ৬ মাসের সময় চেয়েছেন হাইকোর্টে। আদালত তা মঞ্জুর করেছেন। এদিন হাইকোর্টে এ মামলার তদন্তের জন্য আরও ৯ মাস সময় চান রাষ্ট্রপক্ষ, আদালত ছয় মাস সময় দিয়েছেন।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে মামলায় বাদীপক্ষের শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির। আর রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার এক কর্মকর্তা। একই সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তভার পড়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল আলমের ওপর।
দুই মাস পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় র্যাবকে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সংস্থাটি।
এদিকে, এ মামলার বাদী পক্ষে আইনি লড়াইয়ের জন্য ২৯ সেপ্টেম্বর আইনজীবী শিশির মনিরকে নিযুক্ত করা হয়।
২০১২ সালে হত্যাকাণ্ডের পর তদন্ত ও আসামি গ্রেফতার নিয়ে জনস্বার্থে রিট করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। সেই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি জারি করা রুলে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের খুনিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, সাগর-রুনি মামলার তদন্ত সঠিকভাবে করা এবং আসামিদের আইনের আওতায় আনার জন্য ২০১২ সালে আমরা একটা রিট দায়ের করেছিলাম। সেই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছিলেন। রুলে সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত করে আসামিদের আইনের আওতায় আনার জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন। এরপর আমাদের পৃথক একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার তদন্ত র্যাবের কাছে চলে যায়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত এ মামলার চূড়ান্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বৈঠকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করা হয়েছে। ১ জুলাই ২০২৪ থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও বিভিন্ন মামলায় আটকদের মুক্তি দেওয়া শুরু হয়েছে এবং এরই মধ্যে অনেকে মুক্তি পেয়েছেন।
৬ আগস্ট বঙ্গভবন থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস রিলিজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল সোমবার (৫ আগস্ট) রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জানান, কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক বন্দিকে শিগগির মুক্তি দেওয়া হবে। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান ও আহতদের সুচিকিৎসার প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার কথাও জানান রাষ্ট্রপতি।
তিনি আরও বলেন, জরুরি ভিত্তিতে একটি অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠন করা হবে। সব দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।
অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠনের লক্ষ্যে গতকাল রাতে বঙ্গভবনে সেনাপ্রধান, নৌপ্রধান, বিমান বাহিনীর প্রধান এবং দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাষ্ট্রপতি।
বৈঠকে কোটাবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করা হয়। এসময় অনতিবিলম্বে একটি অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে সবাইকে ধৈর্য ও সহনশীল আচরণ করার আহ্বান জানানো হয় বৈঠকে। লুটতরাজ ও হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।
সেই বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অনতিবিলম্বে মুক্তির সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এবং সম্প্রতি বিভিন্ন মামলায় আটক সব বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি যেন কোনোভাবেই বিনষ্ট না হয় সে ব্যাপারেও সভায় ঐকমত্য হয়।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের আউটকাম নিয়ে সন্তুষ্ট নয় বিএনপি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো রোডম্যাপ না পাওয়ায় অসন্তুষ্ট দলটি।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যমুনায় পৌনে দুই ঘণ্টা বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে বুধবার দুপুর ২টায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ জানাননি। তিনি ডিসেম্বর থেকে জুন মাসের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছেন। আমরা বলেছি ডিসেম্বর নির্বাচনের কাট অফ সময়।
এখন বিএনপি কী করবে-সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা দলীয় ফোরামে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো।
এর আগে দুপুর ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বৈঠক শুরু হয়।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
এর আগে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিএনপি সময় চায় বলে জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, বিভিন্ন ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছে বিএনপি। ড. ইউনূসের সঙ্গে আলোচনার পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে দল। নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট ধোঁয়াশা কাটাতে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা জরুরি বলেও জানান দলটির প্রভাবশালী এই নেতা।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
দুই বৈঠকসহ সার্বিক বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। লন্ডন থেকে বৈঠকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৈঠক সূত্র জানায়, এতে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে পৃথক দুই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হবে, তা ঠিক করা হয়।
সংশ্লিষ্ট নেতারা জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ এবং নির্বাচন ঘিরে বিভ্রান্তি দূর করা নিয়ে আলোচনা করার প্রস্তুতি নিয়ে যান তারা। কিন্তু বৈঠকে সুনির্দিষ্ট কোনো রোডম্যাপ ঘোষণা হয়নি।
এই বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা ছিল। দেশবাসী তাকিয়ে ছিল বৈঠকের আউটকাম নিয়ে। কিন্তু বিএনপি বৈঠকের আউটকাম নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি।
মন্তব্য করুন


ঈদুল আজহা সামনে রেখে শ্রমিকদের পাওয়া পরিশোদের জন্য চলতি মাসের ২৮ তারিখ পর্যন্ত মালিকদের সময় দিয়েছে সরকার। এই সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের দেনা-পাওনা পরিশোধ না করলে যেসব মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
উপদেষ্টা জানান, ঈদ সামনে রেখে শ্রমিকের পাওনা ২৮ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। ঈদ সামনে রেখে শ্রমিকের পাওনা ২৮ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
যেসব মালিকের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে তারা বিদেশে থাকলে রেড অ্যালার্ট জারি করতে বলেছি।
বুধবার (২১ মে) সকালে সচিবালয়ে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নৌপথে শৃঙ্খলা ও নিরাপদ যাত্রার প্রস্তুতিমূলক সভা করেন উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। সভা শেষে গণমাধ্যমে এসব কথা জানান তিনি।
বেতন পরিশোধ না করলে মালিকরা দেশের বাইরে তো দূরের কথা ঢাকার বাইরে যেতে পারবে না জানিয়ে তিনি বলেন, শ্রমিকদের বেতন না দেওয়ায় পাঁচজন মালিকের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা হয়েছে। আরো অনেকের বিরুদ্ধে হবে। হয় পাওনা শোধ করতে হবে, অন্যথায় জেলে যেতে হবে।
ঈদে নৌপথের নিরাপত্তায় লঞ্চে অস্ত্রধারী চার জন করে আনসার থাকবে, বাল্কহেড ঈদের আগে ও পরে তিনদিন চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশে ব্যাপক লুটপাট হয়েছে। তিনি দাবি করেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে "চোরতন্ত্র" প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি বলেন, অর্থের বিনিময়ে বড় বড় প্রকল্পের কাজ দেওয়া এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ পাচার করা সেই সময়ের নিয়মিত ঘটনা ছিল। সে সময় পাচার করা অর্থ দিয়েই এখন প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে পাচারকারীরা।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লবে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই বিপ্লবের প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, “যারা এই বিপ্লবে অংশ নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এখানে কোনো গণঅভ্যুত্থান হয়নি বরং মৌলবাদী শক্তির উত্থান ঘটেছে। এ ধরনের অপপ্রচার করে পরাজিত শক্তি আপনাদের জঙ্গি হিসেবে উপস্থাপন করতে চায়।”
তিনি আরও বলেন, "জুলাই বিপ্লবের সময় অনেক গণমাধ্যম আন্দোলনকারীদের 'জাতির শত্রু' হিসেবে চিত্রিত করেছিল। গণমাধ্যমের মাধ্যমে এমন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছিল যা শাসকদের কাছে আন্দোলনকারীদের দমন করার বার্তা পৌঁছে দিয়েছিল। যদি ফ্যাসিস্ট শক্তি জয়ী হতো, তবে হাজার হাজার মানুষকে কারাগারে পাঠানো হতো এবং আন্দোলনকে 'অরাজকতা সৃষ্টিকারী' হিসেবে দেখানো হতো।"
সাংবাদিকতা কেবল পেশা নয়, এটি একটি দায়িত্ব উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, "জুলাই বিপ্লবে কার কী ভূমিকা ছিল তা আরও গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। সবাইকে তাদের অভিজ্ঞতা এবং পর্যবেক্ষণ লিখে রাখার আহ্বান জানাই।"
অনুষ্ঠানে উপস্থিত পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, “যদি ফ্যাসিস্ট সরকার আরও এক মাস সময় পেত, তাহলে ২৫ মার্চের মতো আরও একটি কালরাত দেখা যেত। সেই রাতে শিক্ষক, সাংবাদিক এবং তরুণদের টার্গেট করে হত্যা করা হতো। ফ্যাসিস্ট সরকার টিকে গেলে যুবসমাজের চাকরির অধিকারও হরণ করা হতো।”
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে দ্রুতই রাজপথে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ।
কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়েরের সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। রাষ্ট্রপতি তার পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন, দ্রুত তাকে পদত্যাগ করতে হবে। দ্রুতই রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে রাজপথের কর্মসূচি ঘোষণা করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কোনোভাবেই আর রাষ্ট্রপতিকে পদে দেখতে চাই না।
এর আগে ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরকে আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার। আসামি হিসেবে আছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সেক্রেটারি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা সভাপতি ও সেক্রেটারিও। ৩৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে ১ হাজার অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে এ মামলা হয়েছে।
সম্প্রতি মানবজমিন পত্রিকায় সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের একটি সাক্ষাৎকার নেন। গত শনিবার (১৯ অক্টোবর) পত্রিকার রাজনৈতিক ম্যাগাজিন সংস্করণ ‘জনতার চোখ’- এ সাক্ষাতকারটি প্রকাশিত হয়।
‘উনি তো কিছুই বলে গেলেন না...’ শিরোনামে প্রকাশিত লেখায় মতিউর রহমান উল্লেখ করেন, তিন সপ্তাহ ধরে তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র থাকার কথা যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সেখানেও তিনি খোঁজ নিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিনের মুখোমুখি হন।
সেখানে আলাপচারিতার একপর্যায়ে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে জানতে চান, আপনার কাছে কি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্রটা আছে? জবাবে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি শুনেছি তিনি পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু আমার কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়তো সময় পাননি’।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘৫ই আগস্ট সকাল সাড়ে দশটায় বঙ্গভবনে ফোন এলো প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে। বলা হলো, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে আসবেন মহামান্য প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য। এটা শুনেই প্রস্তুতি শুরু হলো বঙ্গভবনে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ফোন এলো তিনি (শেখ হাসিনা) আসছেন না’।
মন্তব্য করুন


গত ২৬ জুন মুরাদনগরের পঞ্চকিট্রি ইউনিয়নের বাহারচর গ্রামে এক হিন্দু নারীর সাথে অশোভনীয় ঘটনা ঘটে যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্ত ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী দীর্ঘ ৫ বছর ধরে বিদেশে অবস্থান করছেন। এ সময়ে একই গ্রামের এবং পূর্বপরিচিত মোঃ ফজর আলী (৩২) এর সাথে উক্ত নারী ব্যক্তিগত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। একই সাথে ফজর আলীর ছোট ভাই শাহপরান এর সাথেও তার (ভুক্তভোগী) সখ্যতা গড়ে উঠে।
ঘটনার দিন রাতে বড় ভাই ফজর আলী উক্ত নারীর ঘরে অবস্থানকালে ছোট ভাই শাহপরান ও কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি ঘরে ঢুকে তাদেরকে মারধর করে এবং ভিডিও ধারণ করে।
উক্ত মারধরের ফলে ফজর আলী আহত হয়ে প্রথমত কুমিল্লা এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ২৭ জুন উক্ত নারী মুরাদনগর থানায় ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য যে, এ বিষয়ে তিনি (ভুক্তভোগী) ডাক্তারী পরীক্ষা করাতে রাজি হননি। এ ব্যাপারে প্রশাসন ও যৌথ বাহিনী যথেষ্ট তৎপর রয়েছে এবং মোঃ ফজর আলীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আটক করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ। এছাড়া ভিডিও ধারণ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশোভন ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ইতোমধ্যে সর্বমোট ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় যে, বিষয়টি ব্যক্তিগত সম্পর্কজনিত এবং পারস্পারিক সমঝোতার মাধ্যমে সংঘটিত হয়েছে। এখানে বলপ্রয়োগ, দরজা ভাঙ্গা বা ধর্ষণের সরাসরি কোন সম্পৃক্ততা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়নি।
তথাপি প্রকৃত ঘটনাটি তদন্তের পূর্বেই অশোভন ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিঃসন্দেহে অনাকাঙ্খিত। তবে আইন প্রযোগকারী সংস্থা কর্তৃক দুত তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন পূর্বক দোষীদের অচিরেই শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে আশা করা যায়।
মন্তব্য করুন


বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, চলতি গরমে লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করা হবে। তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ১৮ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছাতে পারে, তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টারস বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। "জ্বালানি সংকট উত্তরণের পথ" শীর্ষক এই আলোচনায় উপদেষ্টা আরও যোগ করেন, গ্রাম ও শহরাঞ্চলে বিদ্যুৎ বণ্টনে সমন্বয় রাখা হবে এবং জ্বালানি আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমান সরকার অস্থায়ী হওয়ায় দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প হাতে নেওয়া সম্ভব নয়। তবে জ্বালানি খাতের বকেয়া পরিশোধকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। "বিল পরিশোধ না করলে কোনো দেশ আমাদের সাথে ব্যবসা করতে আগ্রহী হবে না," বলেন তিনি।
এছাড়া, আগামী দুই মাসের মধ্যে সিস্টেম লস ৫০% কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। গ্যাস চুরি ও লাইন লিকেজ রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। এনজিএস আমদানিতে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেল বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোর পাশাপাশি আগামী বছর বকেয়া পরিশোধের চাপ কমবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। "ভর্তুকি বাড়বে না, বরং কমবে। আমরা সংকট থেকে উত্তরণের চেষ্টা করছি," যোগ করেন তিনি।
সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান প্রসঙ্গে উপদেষ্টা জানান, বিটিতে অংশগ্রহণকারী না পাওয়ায় পুনরায় টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণে বিইআরসিকে দায়িত্ব না দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "তেলের দাম ওঠানামা করে। প্রতিবেশী দেশের বাজার ও ভর্তুকির বিষয়ও বিবেচনায় নিতে হয়।"
মন্তব্য করুন