যারা খাল বা ভূমি দখল করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ভূমিদস্যুরা দেশ ও সমাজের শত্রু। তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
আজ মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া ঝাউবাড়ি এলাকায় শুভাঢ্যা খাল খনন ও সুরক্ষা কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, একসময় এই খালটি সচল এবং প্রবাহমান ছিল। কিন্তু ভূমিদস্যুরা দখল করে এটিকে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করেছে। আর কিছুদিন গেলে এই খালটি ফিরে পাওয়া যেত না। ভূমিদস্যুরা এটিকে রাস্তায় পরিণত করত।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, যে খাল দিয়ে মানুষ যাতায়াত করত এবং বুড়িগঙ্গা থেকে ধলেশ্বরী নদী পর্যন্ত পানি প্রবাহিত হতো, সেই খালটিকে আজ ভূমিদস্যুরা দখল ও দূষণ করে সর্বনাশ করেছে। যারা এই নির্দেশনা মানবে না, তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
মন্তব্য করুন
গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপন নিয়ে কোনো নাশকতার শঙ্কা নেই বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানায়।
উপদেষ্টা বলেন, আগামী ৫ আগস্ট দেশে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ধরনের হুমকি নেই। সবকিছু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এ সময় বিশেষ অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, দেশের নিরাপত্তা বজায় রাখার লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে যে বিশেষ অভিযানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেটি তাদের নিজস্ব বিষয়। যে কোনো সময় নিরাপত্তার জন্য ডিএমপি এমন অভিযান চালাতে পারে বলে জানান তিনি।
রংপুরের গংগাচড়ায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, হামলার ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভারতে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তিনি অবিলম্বে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি এই দাবি জানান।
অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের নাম উল্লেখ না করে বিবৃতিতে শেখ হাসিনা বলেন, “চট্টগ্রামে একজন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে, এ হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করে দ্রুত শাস্তি দিতে হবে। এই ঘটনার মাধ্যমে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। একজন আইনজীবী তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন, এবং তাকে পিটিয়ে হত্যা করা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। যারা এটি করেছে, তারা যেই হোক না কেন, তাদের শাস্তি পেতেই হবে।”
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী’ হিসেবে উল্লেখ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ইউনূস সরকার যদি এ সন্ত্রাসীদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে তাকেও শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ান। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।”
শেখ হাসিনা আরও বলেন, “বর্তমান ক্ষমতা দখলকারীরা সর্বক্ষেত্রেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। সাধারণ মানুষের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এসব নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানাই।”
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নাম উল্লেখ না করে শেখ হাসিনা বলেন, “সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের একজন শীর্ষ নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে। চট্টগ্রামে মন্দির পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে মসজিদ, মাজার, গির্জা, মঠ এবং আহমাদিয়া সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি আক্রমণ করে ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সব সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।”
“আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী, ছাত্র-জনতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করার পরও হামলা-মামলা ও গ্রেফতারের মাধ্যমে হয়রানি চলছেই। আমি এসব নৈরাজ্যবাদী কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি,” বলে বিবৃতিতে জানান শেখ হাসিনা।
মন্তব্য করুন
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে নৌকা মার্কা (আওয়ামী লীগ) নিশ্চিহ্ন করতে হবে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চলমান বিচার প্রক্রিয়ার সময় তাদের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা উচিত। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের কারণে জুলাই ঘোষণাপত্র এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
শুক্রবার (২ মে) বিকেলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
নাহিদ ইসলাম বলেন, "জুলাই অভ্যুত্থানের নয় মাস পরেও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও তাদের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে আমাদের রাজপথে নামতে হচ্ছে—এটা আমাদের সম্মিলিত ব্যর্থতা। আমরা জাতির কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে, বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনের বিচার করব এবং দেশকে সংস্কার করব।"
তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশের জনগণ এই প্রথমবারের মতো রাজপথে নামেনি, জীবন দেয়নি। এর আগেও বহুবার মানুষ সংগ্রাম করেছে, প্রাণ দিয়েছে। ১৯৭১ সালের পর ১৯৭২ সালে 'সোনার বাংলা'র স্বপ্ন মুজিববাদীদের হাতে বিনষ্ট হয়। দেশকে ভারতীয় শাসকগোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন ধ্বংস করা হয়। মুজিববাদী সংবিধানে 'বাঙালি জাতীয়তাবাদ'-এর নামে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতির অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। গণতন্ত্রের নামে বাকশাল কায়েম করা হয়।"
তিনি বলেন, "বাংলাদেশে বারবার সামরিক হস্তক্ষেপ হয়েছে। নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে জনগণ স্বৈরশাসনের পতন ঘটায়। কিন্তু ৩০ বছর পর আবারও সেই স্বৈরতন্ত্র ফিরে এসেছে। গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদী শাসন চালিয়েছে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।"
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "যখন ছাত্র-জনতা তাদের অধিকারের দাবিতে রাজপথে নেমেছিল, তখন আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবিকে দিয়ে গুলি চালিয়েছিল। আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়। তাদের নিবন্ধন বাতিল করে রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। কিন্তু বিগত নয় মাসেও এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।"
তিনি আরও অভিযোগ করেন, "যাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, তারা জামিন পেয়ে যাচ্ছে। মামলা-বাণিজ্য চলছে। তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগ পুনরায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে।"
নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে তিনি বলেন, "নির্বাচন কমিশন কার স্বার্থে কাজ করবে? আমরা দেখেছি, কিছু সাংবাদিক প্রশ্ন তুলেছেন—শেখ হাসিনা কি গণহত্যাকারী? তাদের বলছি, আপনারা ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের দোসর।"
সমাবেশে তিনি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এবং সরকারের সমালোচনা করেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
এ বছর থেকেই এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের সব শিক্ষকের স্বয়ংক্রিয় বদলি প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। আজ বুধবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে এবং এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে হবে। বদলির সময় নারী-পুরুষ এবং বাড়িসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় নেওয়া হবে। আমি এসব মৌলিক কাজ করছি, যেখানে মহার্ঘ ভাতা বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ নয়। ইতোমধ্যে ৫৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এটি একটি চ্যালেঞ্জ ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনা এবং গণঅভ্যুত্থানের কারণে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হয়েছে, বিশেষ করে জনমিতি সুবিধার ক্ষেত্রে। বর্তমানে জনসংখ্যার বয়স কাঠামো মাঝামাঝি অবস্থায় রয়েছে, তবে ১০ বছর পর এটি থাকবে না, কারণ সবার বয়স বাড়বে এবং তখন চিকিৎসা খরচ আরও বাড়বে। তবে সুশাসিত গণতান্ত্রিক শাসনে যদি উত্তরণ সম্ভব হয়, তবে এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠা সম্ভব। এজন্য অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য হওয়া উচিত এটাই। আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো একটি ভালো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।’
শিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘রপ্তানি গতি ফিরে এসেছে, রেমিট্যান্স বাড়ছে, যা আশাব্যঞ্জক। মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে বলে বলা হচ্ছে, তবে এটা পুরোপুরি কমে যায়নি। মূল্যস্ফীতি এখনও বাড়ছে, যার ফলে দিনমজুরদের ওপর চাপ বাড়ছে এবং মধ্যবিত্তরাও সমস্যায় পড়েছে। ২০১০ সাল থেকে কোনো বছরেই মার্চের আগে বই যায়নি। কিছু কিছু বছর বই জুলাই-আগস্টে পৌঁছেছে, তবে এবার বই খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে ৫০ বছর ধরে বিতর্কের বিষয় ছিল, তবে রংপুরের আবু সাঈদের মৃত্যুর তারিখ ভুল হওয়া নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি, ভুল ভ্রান্তি হতে পারে এবং সেগুলো সংশোধন করা হবে।’
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আরও বলেন, ‘দেশের নদী ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমরা একটি পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা তৈরি করেছি। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি নিয়ে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য প্রয়োজন। তবে ডেল্টা প্ল্যান তার জায়গায় থাকবে, যা শত বছরের পরিকল্পনা। তবে কোন বিশেষজ্ঞই বলতে পারবে না শত বছরে বাংলাদেশ কেমন হবে। তাই মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা আছে।’
মন্তব্য করুন
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন এবং ইংরেজি ক্যালেন্ডারের শেষ দিন থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, “আগামী ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উদযাপিত হবে এবং ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা হবে। এই দুটি বড় উৎসবকে ঘিরে ঢাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। নগরবাসীর সহায়তায় আমরা উৎসবগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”
ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ সভার শুরুতে একটি প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
বড়দিনের জন্য পরিকল্পিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে:
থার্টি ফার্স্ট নাইটের জন্য পরিকল্পনা:
উৎসব দুটি সফলভাবে উদযাপন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সভায় ডিএমপির বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, সশস্ত্র বাহিনী, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, ডিপিডিসি, ঢাকা ওয়াসা এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. ইসরাইল হাওলাদার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান, এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে তাঁদের মূল্যবান মতামত প্রদান করেন।
মন্তব্য করুন
জাতীয় নির্বাচনের আগেই লুট হওয়া সব অস্ত্র উদ্ধার করা হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার সকালে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের হিমাগার ও কেন্দ্রীয় বীজ পরীক্ষাগার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কোনো অসুবিধা নেই। সরকার এ লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণে তৎপর রয়েছে।
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, জনগণ নির্বাচনমুখী, তাই নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না। নির্বাচন বানচালে যারা ষড়যন্ত্র করছে, সরকার শক্ত হাতে তাদের প্রতিহত করবে।
অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে উপদেষ্টা জানান, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান আরও জোরালোভাবে পরিচালিত হবে।
এসময় তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ অনেক সচেতন এবং দেশের সীমান্তও সুরক্ষিত রয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই মুহূর্তে ইসি অন্য কোনো নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে না। তবে সরকার চাইলে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করতে ইসি প্রস্তুত রয়েছে।
মঙ্গলবার ইউএনডিপিসহ উন্নয়ন সহযোগী ১৮টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা ১৬ ডিসেম্বরের বক্তব্যে বলেছিলেন, যদি অল্প পরিমাণে সংস্কারসহ নির্বাচন করতে হয় এবং রাজনৈতিক মতৈক্য গড়ে ওঠে, তাহলে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব। আর যদি ব্যাপক সংস্কারের সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে ২০২৬ সালের জুন নাগাদ নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, "আমরা বলেছিলাম, আমাদেরকে সম্ভাব্য সবচেয়ে আগের তারিখ ধরে প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের অবস্থান এখনও অপরিবর্তিত।"
স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "একটি প্রশ্ন উঠেছিল, দুটি নির্বাচন একসঙ্গে করা যায় কিনা। এতে কত সময় লাগতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।"
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন একসঙ্গে আয়োজন করা সম্ভব নয়। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন ধাপে ধাপে আয়োজন করতে গেলে এক বছর সময় লাগে। যদি সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয়, তাহলে জাতীয় নির্বাচনের সময় পিছিয়ে যাবে। বর্তমানে জাতীয় নির্বাচনই ইসির অগ্রাধিকার। তাই ইসি এখন শুধু জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে সরকার যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে ইসি তা বাস্তবায়ন করবে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সরকারের।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আবুল ফজল বলেন, "স্থানীয় সরকার নির্বাচন কতটুকু হবে, কোন কোন প্রতিষ্ঠানের হবে, সে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তখন ইসি বলতে পারবে, এটা জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে কিনা। তার আগে এ বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।"
ইউএনডিপি ছাড়াও এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, কানাডা, জার্মানি, চীন, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, ইইউ এবং তুরস্কের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
মন্তব্য করুন
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে—এতে কোনো সন্দেহ নেই।
আজ শুক্রবার (২৯ আগস্ট) নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দুদিনব্যাপী কোর প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ উদ্বোধন অনুষ্ঠান তিনি এ কথা বলেন।
ইসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কমিশনের প্রধান দায়িত্ব একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা। এর বিকল্প কোনো পথ নেই। জীবন চলে যেতে পারে, কিন্তু নির্বাচনে ফাঁকিবাজি, ধোকাবাজি করা যাবে না। কমিশন ও মাঠপর্যায়ের সবাইকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক স্মৃতি বা ‘ইনস্টিটিউশনাল মেমোরি’ দুর্বল হয়ে যাওয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই কমিশন হোঁচট খাচ্ছে।
গোপনীয়তা রক্ষা ও দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে কমিশনের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে তিনি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, ভালো নির্বাচন ছাড়া আমাদের সামনে দ্বিতীয় কোনো বিকল্প নেই। এ নির্বাচনের মূল কেন্দ্রবিন্দু হবে প্রিজাইডিং অফিসার। তাদের শক্তিশালী ও দক্ষ করে তুলতে পারলেই একটি সুন্দর নির্বাচন সম্ভব হবে।
কমিশনার প্রশিক্ষণের গুরুত্বের ওপর জোর আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সম্ভাব্য সব সমস্যার একটি তালিকা তৈরি করে সমাধানের পথ নির্ধারণ করতে হবে।
‘যদি একজন প্রিজাইডিং অফিসার সাহসী ও সৎভাবে দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে একটি ভোটকেন্দ্র সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সম্ভব’-যোগ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন নিবন্ধন ছাড়া দলগুলোই ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় না।
তিনি বলেন, ৫২টি দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে। আর ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায় না কারা বলি, যেসব দলের নিবন্ধন হয় নাই, যাদের জন্ম ৫ আগস্টের পর। এরা ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় না।
ডিসেম্বর বলছে বিএনপির পক্ষ থেকে। আমি বলছি কেন ডিসেম্বর, কেন সেপ্টেম্বর, অক্টোবরে নির্বাচন নয়? কোন কাজটা বাকি আমি তো দেখতেছি না।
আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই একটি দেশের মূল শক্তি। দেশ গড়তে সবাইকে কাজ করতে হবে। ভবিষ্যতের নির্বাচিত সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। বিএনপি সরকার গঠন করলে তা হবে জবাবদিহিমূলক সরকার।
নির্বাচনের সময়সীমা প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, গণতন্ত্রের পথ কেউ যদি রুদ্ধ করতে চায়, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া কেউ যদি বাধাগ্রস্ত করতে চায়, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের রুখে দেওয়া হবে। ডিসেম্বরের মধ্যেই হতে হবে নির্বাচন।
প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, এর দ্বারা কী অর্থ বহন করে এমন প্রশ্ন রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
মন্তব্য করুন
সরকারের নির্দেশে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদের অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমার মাঠ ছাড়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সরকার ধর্মীয় স্বার্থে উস্কানিমূলক বক্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, কামারপাড়া, আবদুল্লাহপুর, উত্তরা, এবং তুরাগ নদীর দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইজতেমা মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় পরিস্থিতি সামাল দিতে সাদপন্থিরা মাঠ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান রেজা আরিফ।
তিনি বলেন, সরকার সতর্ক করে দিয়েছে যে, দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। সংঘর্ষ এড়াতে সরকারের অনুরোধে সম্মান জানিয়ে উভয় পক্ষকে মাঠ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাঠের নিয়ন্ত্রণ সরকার নিজ হাতে নেবে এবং কোনো পক্ষকেই সেখানে অবস্থান করতে দেওয়া হবে না।
এর আগে, বুধবার ভোরে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। তারা হলেন—কিশোরগঞ্জের বাচ্চু মিয়া (৭০), বগুড়ার তাইজুল ইসলাম (৬৫) এবং ঢাকার বেলাল (৬০)। সংঘর্ষে আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমার প্রস্তুতি নিতে সাদ অনুসারীরা মাঠে প্রবেশের চেষ্টা করলে জুবায়েরপন্থিদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। মঙ্গলবার রাত তিনটার পর সাদপন্থিরা কামারপাড়া ব্রিজ পার হয়ে মাঠে প্রবেশ করে। এসময় জুবায়েরপন্থিদের বাধা উপেক্ষা করে তারা বিদেশি নিবাসের গেট খুলে মাঠে ঢোকে এবং সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের উপদেষ্টারা একটি জরুরি বৈঠক করেন। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং ধর্ম উপদেষ্টা আ ক ম খালিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সরকারের এই সিদ্ধান্ত উভয় পক্ষের সংঘর্ষ এড়াতে এবং ইজতেমার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন